নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে রাঙামাটি জাতীয়তাবাদী জেলা ছাত্রদল। সমাবেশের শুরুতেই জেলা ছাত্রদল সভাপতি ফারুক আহমেদ সাব্বির অনুসারিরা সমাবেশস্থল ত্যাগ করে। রবিবার দুপুরে জেলা বিএমপি কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালন কালে এই ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মোরশেদ আলমের সভাপত্বি বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল মালম, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর সুমন। সমাবেশে বক্ত্যরা বলেন, সরকার নির্বাচনী ইসতেহারে বলেছিল দশটাকায় চাল দিবে, ঘর ঘরে চাকরি দিবে। কিন্তু এখন দশটাকায় চাল দেওয়াতো দুরে থাক প্রতি কেজি চালের দাম বৃদ্ধি পেয়ে ৬০-৭০টাকা হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের চরা দামে জনজীবনে দুর্বি দেখা দিয়েছে। সমাবেশ থেকে দ্রুত দ্রব্যমূল্যের দাম কমিয়ে জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার দাবি জানান বক্ত্যরা। সমাবেশ শুরুর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বনরুপা থেকে শুরু হয়ে পৌরসভা চত্তর ঘুরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। শুরুতে সমাবেশস্থল থেকে বেশ কিছু নেতাকর্মী বের হয়ে যেতে দেখা গেছে।
বের হতে থাকা ছাত্রদল কর্মীদের সমাবেশস্থলে অবস্থান করাতে চাইলে, তারা ছাত্রদল নেতা অলি আহাদের আহবানকে প্রত্যাখান করে সমাবেশস্থল ত্যাগ করে। এই প্রসঙ্গে ছাত্রদল নেতা অলি আহাদ জানান, এটা দুই একজন ছোট ভাইদের মধ্যে কথাকাটা কাটির জন্য হয়েছে। এটা কোন গ্রুপিং বা অন্যকোন সমস্যা না। জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর সুমন জানান, এই ধরণের কোন কিছু চোখে পড়ে নাই। নানা কাজে অনেকে হয়তো সমাবেশ শেষ করার আগেই চলে গেছে। এই বিষয়ে রাঙামাটি জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মোরশেদ আলম জানান, কেন্দ্রীয় নেতার সামনে এমন আচরণ ঠিক হয় নাই। ছাত্রদল একটি বড় সংগঠন, কেও কেও হয়তো ভিন্ন ভিন্ন নেতার অনুসারি থাকতে পারে। তারাই এমন আচরণ করেছে। এই বিষয়ে কয়েকজন ছাত্রদল নেতা কর্মীর সাথে কথা বলে জানা যায়, হত্যাচেষ্টা মামলায় জেলে থাকা জেলা ছাত্রদল সভাপতি ফারুক আহমেদ সাব্বিরের ছবি সংবলিত ফ্যাসটুন সমাবেশস্থল থেকে সরিয়ে ফেলতে বলা হলে তখন কিছু নেতা কর্মী সমাবেশ স্থল থেকে বের হয়ে গিয়ে, গর্জনতলী সড়কের মুখে অবস্থান নেয়। প্রসঙ্গত: রাঙামাটি সদর উপজেলার কৃষক লীগের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় ছাত্রদল নেতা ফারুক আহমেদ সাব্বির জেলে আছেন।